জয় শ্রীকৃষ্ণচৈতন্য প্রভু নিত্যানন্দ শ্রীঅদৈত গদাধর শ্রীবাসাদি গৌর ভক্তবৃন্দ হরে কৃষ্ণ হরে কৃষ্ণ কৃষ্ণ কৃষ্ণ হরে হরে হরে রাম হরে রাম রাম রাম হরে হরে জয় শ্রীকৃষ্ণচৈতন্য প্রভু নিত্যানন্দ শ্রীঅদৈত গদাধর শ্রীবাসাদি গৌর ভক্তবৃন্দ হরে কৃষ্ণ হরে কৃষ্ণ কৃষ্ণ কৃষ্ণ হরে হরে হরে রাম হরে রাম রাম রাম হরে হরে জয় শ্রীকৃষ্ণচৈতন্য প্রভু নিত্যানন্দ শ্রীঅদৈত গদাধর শ্রীবাসাদি গৌর ভক্তবৃন্দ হরে কৃষ্ণ হরে কৃষ্ণ কৃষ্ণ কৃষ্ণ হরে হরে হরে রাম হরে রাম রাম রাম হরে হরে
সবাইকে নমস্কার

Saturday, 24 February 2018

নিমাই পণ্ডিত এবং নবদ্বীপবাসী পর্ব-(০১)
 
নিমাই পণ্ডিত ছাত্রদের নিয়ে নবদ্বীপ শহর ঘুরে বেড়াতেন। তিনি ছিলেন সেই পণ্ডিত নগরীর নেতৃস্থানীয়। অধিকাংশ মানুষ জানত না যে, তিনি পুরুষোত্তম, কিন্তু যেভাবেই হোক প্রত্যেকেই তাঁর প্রতি অস্বাভাবিক আকর্ষণ অনুভব করত। তারা বলত, “ দেখ, এই বালকটি অসাধারণ প্রতিভাসম্পন্ন এক তরুণ পণ্ডিত।

 মহাপ্রভু অধ্যাপনা শেষ করে গঙ্গায় গিয়ে সাঁতার কাটতেন। স্নান শেষে শচীমাতার হাতে রান্না করা পরম সুস্বাদু প্রসাদ গ্রহণ করতেন। তিনি অন্নের সাথে শুকতা, তেতো শাক, নানা প্রকার সবজি, বিভিন্ন ধরনের চর্চ্চড়ি ইত্যাদি ভালোবাসতেন। শচীমাতা শ্রীচৈতন্যদেবকে প্রসাদ গ্রহণ করতে দেখে খুবই আনন্দিত হতেন।

Monday, 29 August 2016

রাজা ইন্দ্রদু্্যম্ন এবং শ্রীশ্রীজগন্নাথদেবের শুভাবির্ভাব

সত্যযুগে, মহারাজ ইন্দ্রদু্্যম্ন মালব নামে একটি প্রদেশ শাসন করতেন। রাজধানী ছিল অবন্তী। সরাসরি ব্রহ্মা থেকে আগত বংশ পরম্পরায় ইন্দ্রদু্্যম্ন পঁচিশতম পুত্র। তিনি ভগবআন শ্রীবিষ্ণুর একজন মহান ভক্ত ছিলেন, সেজন্য সমস্ত সদ্গুণাবলী তাঁর মধ্যে বিকশিত হয়েছিল।
একবার তাঁর দৈনন্দিন পূজা সমাপন করে মহারাজ ইন্দ্র পূজারীকে অনুরোধ করলেন  “হে পুরোহিত! অনুগ্রহ করে এই ধরণীতে সেই মহাতীর্থের সন্ধান করুন, যেখানে আমি পরমব্রহ্মাকে মুখোমুখি দর্শন করতে পারি।” রাজার আদেশ অনুশারে পুরোহিত সমাগত তীর্থযাত্রীকে রাজপ্রাসাদে সমবেত হতে বললেন। করজোড়ে পুরোহিত সমাগত তীর্থযাত্রীকে জিজ্ঞেস করলেন, “হে তীর্থযাত্রীগণ আপনারা কি এমন কোনো তীর্থ স্থানের কথা অবগত আছন, যেখানে আমাদের মহারাজ স্বচক্ষে ভগবানকে দর্শন করতে পারেন?”

Sunday, 28 August 2016

গুরুদেবের পদসেবা

একজন কুলগুরু দুইভাইকে দীক্ষা দিয়ে চলে গেছেন। অনেকদিন গুরুদেব আসেন না এর মধ্যে দুইভাই ঝগড়া করে পৃথক হয়ে বসবাস করতে থাকে। এইভাবে কিছুদিন গত হতে চলল। একদিন ছোট বৌমা রাস্তার ধারে কোন কর্মে ব্যস্ত ছিলেন। এমন সময় গুরুদেবকে আসতে দেখে ছোট বৌমা সমস্ত কাজ ফেলে গুরুদেবকে প্রণাম করে হাতের দ্রব্যাদি নিয়ে গুরুদেবের বাম পা ধুতে আরম্ভ করলেন। গুরুদেব বললেন- “আগে ডান পা ধুতে হয়।” ছোট বৌমা বলে উঠলেন, “আপনার ছেলেরা আলাদা হয়েছে। সবকিছু ভাগ করে নিয়েছে। আপনার ডান পা বড় ছেলের এবং বাঁ-পা ছোট ছেলের। আমি এখন যদি ডান পা ধুই তাহলে এখনই মারা-মারি লেগে যাবে। সুতরাং আপনি দয় করে ওদের বাড়ী থেকে যান পা ধুয়ে আসুন।
।। হিতোপদেশ।।
কিছু কিছু স্বার্থান্বেষী ব্যক্তি নিজ নিজ স্বার্থে গুরু সেজে শিষ্যদের অর্থ অপহরণ করার চেষ্টা করে। বছরে একদিন আসে ও শিষ্যের কাছে প্রণামী স্বরূপ কিছু নিয়ে চলে যায়। তারা শিষ্যের নিত্য মঙ্গলের কোন চিন্তাই করে না। ফলে শিষ্যদের কোন অন্যায় আচরণ করতে বাধে না। তারা কোন সৎ শিক্ষা না পাওয়ার পলে এমনকি গুরুদেবকেও ভাগ করতে বসেছে। প্রকৃত মঙ্গলাকাঙ্খিী শিষ্য সৎগুরুর চরণাশ্রয় করে স্নেহময়ী সেবার দ্বারই গুরুদেবকে সন্তুষ্ট করেন।

গুরুদেবের পদসেবা

একজন কুলগুরু দুইভাইকে দীক্ষা দিয়ে চলে গেছেন। অনেকদিন গুরুদেব আসেন না এর মধ্যে দুইভাই ঝগড়া করে পৃথক হয়ে বসবাস করতে থাকে। এইভাবে কিছুদিন গত হতে চলল। একদিন ছোট বৌমা রাস্তার ধারে কোন কর্মে ব্যস্ত ছিলেন। এমন সময় গুরুদেবকে আসতে দেখে ছোট বৌমা সমস্ত কাজ ফেলে গুরুদেবকে প্রণাম করে হাতের দ্রব্যাদি নিয়ে গুরুদেবের বাম পা ধুতে আরম্ভ করলেন। গুরুদেব বললেন- “আগে ডান পা ধুতে হয়।” ছোট বৌমা বলে উঠলেন, “আপনার ছেলেরা আলাদা হয়েছে। সবকিছু ভাগ করে নিয়েছে। আপনার ডান পা বড় ছেলের এবং বাঁ-পা ছোট ছেলের। আমি এখন যদি ডান পা ধুই তাহলে এখনই মারা-মারি লেগে যাবে। সুতরাং আপনি দয় করে ওদের বাড়ী থেকে যান পা ধুয়ে আসুন।
।। হিতোপদেশ।।
কিছু কিছু স্বার্থান্বেষী ব্যক্তি নিজ নিজ স্বার্থে গুরু সেজে শিষ্যদের অর্থ অপহরণ করার চেষ্টা করে। বছরে একদিন আসে ও শিষ্যের কাছে প্রণামী স্বরূপ কিছু নিয়ে চলে যায়। তারা শিষ্যের নিত্য মঙ্গলের কোন চিন্তাই করে না। ফলে শিষ্যদের কোন অন্যায় আচরণ করতে বাধে না। তারা কোন সৎ শিক্ষা না পাওয়ার পলে এমনকি গুরুদেবকেও ভাগ করতে বসেছে। প্রকৃত মঙ্গলাকাঙ্খিী শিষ্য সৎগুরুর চরণাশ্রয় করে স্নেহময়ী সেবার দ্বারই গুরুদেবকে সন্তুষ্ট করেন।

আকশের দিকে থুথু ফেললে সেই থুথু নিজের গায়েই পড়ে

এক আদুরে বালক তার মাতা-পিতার কাছে বায়না করতে লাগল “আমাকে ওই চাঁদ এবং তারাগুলি এনে দাও।” মাতা-পিতা তাকে অনেক বোঝালেন, “বাবা! ওগুলোকে মানুষ ছুঁতে পারে না।” কিন্তু বালকটি কিছুতেই শুনল না। তখন, মাতা-পিতা তাকে উঁচু ছাদের উপর উঠিয়ে দিলেন। কিন্তু কিছুতেই চাঁদ কিম্বা তারাগুলোকে ধরা ছোঁওয়ার নাগাল পাওযা যাচ্ছে না দেখে সে অত্যন্ত রেগে গেল। সে চাঁদ ও তারাগুলোকে এত উঁচুতে ধরে রেখেছে। আচ্ছা এক্ষুনি তোমাকে মজা দেখাচ্ছি। এই বলেই সে আকাশের দিকে থুথু ফেলতে লাগল, তখন সেই থুথু কারই গায়ে পড়তে লাগল।

।। হিতোপদেশ।।

আকশের দিকে থুথু ফেললে সেই থুথু নিজের গায়েই পড়ে। তাতে আকাশের কোন ক্ষতি হয় না। সেই রূপ বদ্ধজীব বিশেষ করে মানব সমাজ সাধু গুরু বৈষ্ণবের প্রতি নিন্দা, কুবাক্য ঘৃণা প্রয়োগ করলে তা নিজেই উপরই পড়ে, গুরু বৈষ্ণবের কিছুই হয় না। বুদ্দিমান ব্যক্তি ভগবান ও ভক্তের নিন্দ ও কুবাক্যাদি প্রয়োগ করে নিজের জীবনকে কলঙ্কিত করে না।

Friday, 26 August 2016

পরম শান্তি লাভ

কোন গাঁয়ে অমর নামে এক ছেলে ছিল। তার পিঠে একটি ফোঁড়া হওয়াতে সে নিদারুণ যাতনায় ছটফট করতে লাগল। এমন কি, সে সহজে মরবার জন্য বিষ খাওয়ার কথা চিন্তা করতে লাগল। ছেলেটির এই দশা দেখে তার মা, মাসি, পিসি, ঠাকুমা একটি তালপাতার পাখা নিয়ে ফোঁড়ার ওপর বাতাস করতে লাগল, কখনও বা ফুঁ দিতে লাগল। এইভাবে তারা তার ব্যথা উপশম করবার চেষ্টা করল।
প্রতিবেশী একজন লোক এস বলল, ফোঁড়ার ব্যাথা ভুলাতে হলে অজ্ঞান করে রাখা উচিত। আর একজন এস বলল, ‘অজ্ঞান করে রেখে কিছু লাভ নেই, প্রাণ

Thursday, 7 April 2016

শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুর অধ্যাপনা

শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুর অনুসারীদের কয়েকজন বয়সে তাঁর চেয়ে বড় ছিলেন। খুব অল্প বয়সেই শ্রীচৈতন্যদেব অধ্যাপনা শুরু করেন। অসাধারণ প্রতিভাসম্পন্ন ছিলেন তিনি। মাত্র এগার বছর বয়সেই পি.এইচ.ডিগ্রিধারীর সম পর্যায়ভুক্ত হন এবং তাঁর নিজের পাঠশালার অধ্যাপক হন। এই অল্প বয়সেই তিনি ভারতের সেরা শিক্ষকদের একজনরূপে পরিগণিত হন।
মাত্র চৌদ্দ বছর বয়সেই তিনি নিমাই পণ্ডিত  নামে সবার কাছে পরিচিত হন।