জয় শ্রীকৃষ্ণচৈতন্য প্রভু নিত্যানন্দ শ্রীঅদৈত গদাধর শ্রীবাসাদি গৌর ভক্তবৃন্দ হরে কৃষ্ণ হরে কৃষ্ণ কৃষ্ণ কৃষ্ণ হরে হরে হরে রাম হরে রাম রাম রাম হরে হরে জয় শ্রীকৃষ্ণচৈতন্য প্রভু নিত্যানন্দ শ্রীঅদৈত গদাধর শ্রীবাসাদি গৌর ভক্তবৃন্দ হরে কৃষ্ণ হরে কৃষ্ণ কৃষ্ণ কৃষ্ণ হরে হরে হরে রাম হরে রাম রাম রাম হরে হরে জয় শ্রীকৃষ্ণচৈতন্য প্রভু নিত্যানন্দ শ্রীঅদৈত গদাধর শ্রীবাসাদি গৌর ভক্তবৃন্দ হরে কৃষ্ণ হরে কৃষ্ণ কৃষ্ণ কৃষ্ণ হরে হরে হরে রাম হরে রাম রাম রাম হরে হরে
সবাইকে নমস্কার

Friday, 11 March 2016

যুগাবতার

পরমেশ্বর ভগবান শ্রীকৃষ্ণ ব্রহ্মার একদিনে একবার এই পৃথিবীতে অবতরণ করেন। সত্য, ত্রেতা, দ্বাপর ও কলি- এই চারটি যুগ এক হাজার বার আবতির্ত হলে ব্রহ্মার একদিন হয়। শ্রীকৃষ্ণ দ্বাপর যুগে অবতরণ করেন, আর শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভু অবতরন করেণ করেন কলহ ও কপটতাপূর্ণ কলিযুগে, যা প্রায় পাচঁ হাজার বছর আগে শুরু হয়েছে।
কলি যুগে সুখী হওয়া খুব দুষ্কর ব্যাপার। কিন্তু এ যুগের একটি বিশেষ


গুণ রয়েছে। কলিযুগ দোষের অগাদ সমুদ্র, তথাপি যে কেউ ভগবান শ্রীকৃষ্ণের দিব্যনাম হরে কৃষ্ণ হরে কৃষ্ণ কৃষ্ণ কৃষ্ণ হরে হরে হরে রাম হরে রাম রাম রাম হরে হরে কীর্ত্তন করার মাধম্যে জড় বন্ধন থেকে মুক্ত হয়ে ভগবৎ ধাম লাভ করতে পারে। সাধারণত চিজ্জগতে উন্নীত হতে বহু বহু জন্মের সাধনা প্রয়োজন; কিন্তু ভগবান শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুর কৃপায় হরেকৃষ্ণ মহামন্ত্র কীর্ত্তন করার মাধ্যমে কেউ তা স্বল্প সময়ের মধ্যে লাভ করতে পারে।
সত্য যুগের মানুষ এক লাখ বছন বাঁচত, ত্রেতা যুগে দশ হাজার বছর এবং দ্বাপর যুগে এক হাজার বছর। ভগবান শ্রীকৃষ্ণ যখন ভগবদগীতার জ্ঞান দান করেছিলেন, তখন তাঁর বয়স ছিল একশত পচিশ বছর। তবুও তাঁকে দেখতে বিশ বা পঁচিশ বছরের নবীন যুবকের ন্যায় দেখাত। কেননা তাঁর দেহ চিন্ময়। কিন্তু এই কলি যুগের মানুষ অত্যন্ত স্বল্পায়ু্ । তারা মাত্র একশত বছরের মতো বেঁচে থাকে, তাই এ যুগের মানুষের জন্য আত্মোপলব্ধির একটি বিশেষ পন্থা প্রয়োজন। ভগবান শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভু নিজে আচরণ করে আমাদের দেখিয়েছেন কিভাবে এযুগে ভগবান শ্রীকৃ্ষ্ণের শিক্ষাকে অনুসরণ করতে হয় এবং শুদ্ধতা অর্জন করতে হয়। তিনি আমাদের সেই পন্থা দিয়েছেন, যার মাধ্যমে আমরা ভগবান শ্রীকৃ্ষ্ণের প্রেমময়ী সেবায় নিযুক্ত হয়ে তাঁর কাছে যেতে পারি।

No comments:

Post a Comment