জয় শ্রীকৃষ্ণচৈতন্য প্রভু নিত্যানন্দ শ্রীঅদৈত গদাধর শ্রীবাসাদি গৌর ভক্তবৃন্দ হরে কৃষ্ণ হরে কৃষ্ণ কৃষ্ণ কৃষ্ণ হরে হরে হরে রাম হরে রাম রাম রাম হরে হরে জয় শ্রীকৃষ্ণচৈতন্য প্রভু নিত্যানন্দ শ্রীঅদৈত গদাধর শ্রীবাসাদি গৌর ভক্তবৃন্দ হরে কৃষ্ণ হরে কৃষ্ণ কৃষ্ণ কৃষ্ণ হরে হরে হরে রাম হরে রাম রাম রাম হরে হরে জয় শ্রীকৃষ্ণচৈতন্য প্রভু নিত্যানন্দ শ্রীঅদৈত গদাধর শ্রীবাসাদি গৌর ভক্তবৃন্দ হরে কৃষ্ণ হরে কৃষ্ণ কৃষ্ণ কৃষ্ণ হরে হরে হরে রাম হরে রাম রাম রাম হরে হরে
সবাইকে নমস্কার

Friday, 18 March 2016

ভগবানের নামকরণ

ছয়মাস বয়সে নিমাইয়ের অন্নপ্রাশনের আয়োজন করা হয়। শিশু নিমাই প্রথমবারের মতো মিষ্টান্ন গ্রহণ করবে। শিশুর জন্মে দু-এক মাস পরেই নামকরণ অনুষ্ঠান করা হয়। কিন্তু নিমাইয়ের পিতা-মাতা নামকরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন না করায়, নামকরণ ও অন্নপ্রাশন একই দিনে করতে সিদ্ধান্ত নিলেন। পুত্রের অন্নপ্রাশন উৎসবে যোগদান করে নামের শুভ আদ্যক্ষর ঠিক করার জন্য তাঁরা নীলাম্ব চক্রবর্তীকে নিমন্ত্রণ করলেন। তিনি এসে

বললেন, “বিশ্বম্ভর নামটিই উত্তম। কারণ এই শিশু সমগ্র বিশ্বের ভার গ্রহণ করে।” কিন্তু প্রতিবেশী মহিলার বললেন, “নিমগাছের নিচে ওর জন্ম হয়েছে। তাই আমরা ওকে নিমাই বলে ডাকব।”
পুরুষেরা চাইলেন, শিশুপুত্রের নাম হোক বিশ্বম্বর আর মহিলার চাইলেন নিমাই। তারপর তাঁরা সকলে মিলে নীলাম্বর চক্রবর্তীকে তা সমাধান করার জন্য অনুরোধ করলেন। তাই নীলাম্ব
চক্রবর্তী বললেন, “ঠিক আছে, ওর ডাকনাম হবে নিমাই আর পারমার্থিক কর্মে ওর নাম হবে বিশ্বম্বর।” এভাবে তিনি উভয়কে সন্তুষ্ট করলেন।
সাধারণত এই অনুষ্ঠানে গ্রন্থ ও টাকা দুই পাশে রেখে দেখা হয় যে শিশুটি আসলে এই দুটির কোনটির দিকে আকষ্ট। কিন্তু নীলাম্বর চক্রবর্তী বিভিন্ন ধরনের গ্রন্থ রাখলেন। পাশাপাশি পূর্বজন্মে শিশুটি কোন ছিল তা দেখার জন্য তিনি একটি কলমও রেখেছিলেন যেন চাইলে কিছু লিখতে পারে। এছাড়া তাম্র , রৌপ্য, স্বর্ণসহ বিভিন্ন মুদ্রা রাখলেন। এর মাধ্যমে তিনি দেখতে চাইলেন, যদি সে টাকার দিকে ধাবিত হয়; তবে সে কি অনেক সময় ব্যয় করবে নাকি অল্প সময় ব্যয় করবে। এভাবে সেখানে বিভিন্ন জিনিস সারিবদ্ধ করে রাখা হলো- দেখা যাক ভগবান শ্রীচৈতন্যদেব কোনটি গ্রহণ করেন
সবকিছুর মধ্য থেকে তিনি সোজা গ্রন্থে
দিকে গিয়ে শ্রীমদ্ভাগবত জড়িয়ে ধরলেন। পণ্ডিতরা ভাবলেন, “হ্যা, এই শিশু একদিন পণ্ডিত হবে; কেননা সে এই গ্রন্থটি গ্রহণ করেছে।” কিন্তু যেহেতু তিনি শ্রীমদ্ভাগবত গ্রহণ করেছিলেন, তাই বৈষ্ণবগণ ভাবলেন, “সে অবশ্যই ভগবদ্ভক্ত হবে।”
শ্রীচেতন্য মহাপ্রভুর যেকোন লীলাই বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ।

No comments:

Post a Comment