একদিন শচীমাতা নিমাইকে
কোলো নিয়ে হাঁটছিলেন। হঠাৎ নিমাই কাঁদতে লাগল। শচীমাতা বললেন, “কান্না
থামাও, তুমি যা চাও আমি তাই দেব।” “সত্যি বলছ! আমি যা চাই তাই দেবে?”
নিমাইকে শান্ত করার জন্য তিনি বললেন, “হ্যাঁ, তুমি যা চাও আমি তাই দেব।”
তখন পূর্ণিমার চাঁদ তার স্নিগ্ধ আলো ছড়াচ্ছিল। ছোট্ট নিমাই বলল, “আমি ওই
চাঁদ, আমাকে ওটা এনে দাও।”
কখনো কখনো পূর্ণিমার চাঁদ দেখে মনে হয় হাত
বাড়ালেই তা ধরা যাবে। শিশু
ভাবতে পারে যে, আম গাছ থেকে আম পাড়ার মতো
চাঁদটাকেও খপ করে ধরে আকাশ থেকে নামিয়ে ফেলা যাবে। কিন্তু আসলে কি কাউকে
চাঁদ এনে দেওয়া সম্ভব? তাই শচীমাতাও নিমাইয়ের আবদার পূরণ করতে পারলেন না।
“তুমি তো কথা দিয়েছিলে, আমি যা চাইব তাই আমাকে দেবে। এখন এই চাঁদটা আমার
লাগবেই।”- এই বলে নিমাই আবার কাঁদতে লাগল।
শচীমাতা পড়লেন মহাবিপদে। এখন
কী করবেন? হঠাৎ একখ- মেঘ এসে চাঁদটাকে ঢেকে দিল। শচীমাতা বললেন, “দেখলে
নিমাই? তোমার মুখ কোটি চন্দ্রের চেয়েও সুন্দও, তাই তোমাকে দেখে চাঁদ লজ্জায়
মুখ লুকিয়েছে। আর তুমি কিনা একটা সাধারণ চাঁদের বায়না ধরেছ। ওর গায়ে কলঙ্ক
আছে, কিন্তু তোমার নির্মল অবয়ব এর চেয়ে কত সুন্দর।”
এভাবে ভগবান তাঁর পিতামাতার সঙ্গে খুব সুন্দর সুন্দর লীলাবিলাস করতেন, আর তাঁদের জীবনকে আনন্দমুখর করে তুলতেন।
No comments:
Post a Comment